নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘ আফগানিস্তানে সহিংস দমনপীড়নের জন্য তালেবানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে । সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোতে অংশ নেয়া কমপক্ষে চারজনকে তালেবান যোদ্ধারা হত্যা করেছে বলেও জানানো হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) মুখপাত্র এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের (ওএইচসিএইচআর) মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগ অবিলম্বে বন্ধে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের অধিকার চর্চা যারা করছে এবং বিক্ষোভের খবর সংগ্রহকালে সংবাদকর্মীদের বিচারবহির্ভূত ধরপাকড়ও বন্ধ করতে হবে।’
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরালো হতে শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে গত বুধবার থেকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে তালেবান। বৃহস্পতিবার কাবুলে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়।
প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার ওএইচসিএইচআর মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গোষ্ঠীটির সমালোচনা করে বলেন, ‘আফগানিস্তান চরম অনিশ্চয়তার সময় পার করছে। এমন সময়ে সড়কে অবস্থান নেয়া আফগান নারী-পুরুষের কথা শোনা তালেবানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
সাংবাদিকদের ওপর তালেবানের সহিংস আচরণেরও নিন্দা জানান শামদাসানি।
কাবুলে ইতিলাৎরোজ সংবাদপত্রের দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের পর নির্মম নির্যাতনের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত বুধবার রাজধানীতে তালেবানের বিরুদ্ধে নারীদের বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন তারা। তারা জানান, একটি থানায় নিয়ে তাদের লাঠি, বিদ্যুতের তার আর চাবুক দিয়ে পেটানো হয়। কয়েক ঘণ্টা পর কোনো ব্যাখ্যা ছাড়া ছেড়েও দেয়া হয়।
এদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) শুক্রবার জানায়, আফগানিস্তানের ৯৩ শতাংশ পরিবারে খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। খরার কারণে খাদ্যপণ্য সরবরাহ কমে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যেই পুরো জাতি চরম দারিদ্র্যসীমায় প্রবেশ করতে পারে বলে শঙ্কিত সাহায্য সংস্থাগুলো।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো সতর্ক করে বলেছে, শিক্ষা খাতে ‘প্রজন্মগত বিপর্যয়’-এর মুখে আফগানিস্তান।