নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
মহামারি করোনার সংক্রমন কমতে না কমতেই ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারন করছে। চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬০ জন, এর মধ্যে মারা গেছেন ৫৯ জন। সংখ্যার দিক থেকে ২০০০ সালের পর ডেঙ্গুতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সালের পর ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১৪৮ জন।
এর আগে ২০০১ সালে ৪৪ ও ২০০২ সালে ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অন্যদিকে ২০০৭ সাল থেকে টানা চার বছর ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
তবে চলতি বছরের নয় মাসেই ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ জন। শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে ৯ হাজার ৩০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেন।
এ বছরের জুলাই থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। জুলাইয়ে শনাক্ত হয় দুই হাজারের বেশি রোগী। আর চলতি আগস্ট মাসের ২৭ দিনেই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৪৬ জনের।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩২ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬০ জন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্য বলছে, অন্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৫ হাজার ৪৬০ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৪ জন। বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ১৯৭ জন। এদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৯৯০ ডেঙ্গু রোগী।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগস্টে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন।