নড়াইল নিউজ ২৪.কম স্পোর্টস ডেস্ক:
জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্ত বদলাননি। বোর্ডের সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ করে টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্তে স্থির এ বাঁহাতি। আগে বেশ কয়েকবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্ত বোর্ডকে জানালেও এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি তামিম।
বৃহস্পতিবার বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমকে তামিম নিজের সিদ্ধান্ত জানালেন।
চট্টগ্রামে তামিম বলেন, ‘আগামী ছয় মাস আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে থাকছি না। এই ছয় মাসে আমার ফুল ফোকাস হবে টেস্ট ও ওয়ানডে। বিশ্বকাপের আগে যদি দলের অবস্থা খারাপ হয়, আশা করি তেমনটা হবে না। তখন যদি দরকার পড়ে তাহলে হয়তো আবার চিন্তা করে দেখব।’
নিজের এমন সিদ্ধান্ত মান-অভিমান বা কারও ওপর রাগ থেকে নয়, পুরোটাই ক্রিকেটীয় কারণ থেকে নিয়েছেন বলে জানান তামিম। বিশেষ করে তরুণদের জায়গা করে দিতে এমন সিদ্ধান্ত, এমনটা বলেন এ অভিজ্ঞ তারকা।
তিনি বলেন, ‘ছয় মাস পর আশা করি আমার দরকার পড়বে না। দল অনেক ভালো খেলবে। তবে বড় ইভেন্টের আগে যদি বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে তাহলে আমি আবার চিন্তা করে দেখব। এখানে মান-অভিমানের কিছু না পুরোটাই ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত।
‘আমার যেসব জায়গায় কথা বলে মিডিয়ায় এসে কথা বলা লাগে সেটাই বলি। হুট করে কোনো কথা বলি না।’
২০২০ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে ক্রিকেটের শর্টার ভার্সনে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দেখা যায়নি দেশসেরা এই ওপেনারকে। এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
এরপর বোর্ডপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানান তামিম। তরুণদের সুযোগ করে দিতেই তার এমন সিদ্ধান্ত সে কথাও বলেন এ অভিজ্ঞ তারকা।
তামিমের সিদ্ধান্ত নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেন জাতীয় দলের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। গত রোববারের সে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাই ফেরার সম্ভাবনা নেই তামিমের।
গত শনিবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সংবাদমাধ্যমকে জানান তামিম টি-টোয়েন্টি না খেলার বিষয়ে অটল। তবে ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান তিনি।
২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় খেলা ম্যাচটিই তামিমের জন্য শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি হয়ে রইল।
অন্য ফরম্যাটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের হয়ে অনন্য রেকর্ডধারী তামিম। ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ হাজার ৭৫৮ রান করেছেন তিনি।
এর মধ্যে বাংলাদেশের হয়ে ৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান তার, যা টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সাতটি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি সেঞ্চুরিও আছে তার। ২০১৬ বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি না খেললেও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাবেন তামিম।