নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
আগামী সপ্তাহ থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন হলের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী এক মাসের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে। ঈদুল আজহার পর সব হল খুলে দেওয়া হবে।
বুধবার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে সোমবার (৩১ জুন) মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চার সিদ্ধান্তের মধ্যে দুটিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনা হবে। এই টিকা দেওয়া কর্মসূচি আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর টিকাদান সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সরাসরি উপস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম আগের মতো চালু হবে।
এর আগে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, চীন থেকে ৬ লাখ ডোজ টিকা আসছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে সব শিক্ষার্থীর টিকা নিশ্চিত করা হবে। তারপর আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান বলেন, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থাকা শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে। সেটি শুরু হলে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে মোট ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থীর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এরপর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চালু করা হবে।
আগামী ২১ অথবা ২২ জুলাই (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সেই হিসেবে আবাসিক হলসহ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া সম্ভব হবে ঈদের পর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে গত ২৭ মে বৈঠক করে সরাসরি ও অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা দেয় ইউজিসি।
জানতে চাইলে ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হলে ঈদুল আজহার পর আগস্টের শুরুর দিকে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো সরাসরি পরিচালিত হবে শিক্ষা কার্যক্রম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন।