নড়াইল নিউজ ২৪.কম স্পোর্টস ডেস্ক:
কোপা আমেরিকায় পেরুর সঙ্গে ব্রাজিলের শেষবার ২০১৯ সালের ফাইনালে দেখা হয়েছিলো। সেবার পেরুকে হারিয়ে ১২ বছর পর কোপা জেতার শুভস্মৃতি নিয়েই এবারের গ্রুপ পর্বে পেরুর বিপক্ষে নেমেছিল সেলেসাওরা। আবারও পেরুকে হারিয়ে কোপায় গ্রুপ পর্বের টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে যাত্রা শুরু করা দলটি এবার পেরুকে হারাল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেই হয়েছে তিনটি গোল। বরাবরের মতো আজও মাঠে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়রের।
তবে এ ম্যাচে নেইমারের একক আধিপত্য ছিল না। দলের বড় জয়ে গোল চারটি করেছেন অ্যালেক্স সান্দ্রো, নেইমার, এভারটন রিবেইরো ও রিচার্লিসন। এই গোলগুলোর এসিস্টও করেছেন ভিন্ন ভিন্ন তিন খেলোয়াড়। তারা হলেন যথাক্রমে গ্যাব্রিয়েল হেসুস, ফ্রেড ও রিচার্লিসন।
রিও ডি জেনিরোর এস্তাদিও নিলটন সান্তোসে প্রথমার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল। খেলার ১২ মিনিটে এভারটনের ক্রস পেরুর ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বল পেয়ে যায় ম্যান সিটি উইঙ্গার গ্যাব্রিয়েল জেসুস। তার ঠেলে দেয়া বলে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন অ্যালেক্স সান্দ্রো। ওই ১ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় তিতে শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে ৫৫ ভাগ বল দখল ও অন-টার্গেট শট ব্রাজিলের চেয়ে বেশি হলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি পেরু। পেরুর ৫টি শটের মাঝে ২টি ছিল অন টার্গেটে। অন্যদিকে ব্রাজিল গোলপোস্টে শট নেয় ৪টি। তার মধ্যে ১টি ছিল অন টার্গেটে। সেটি থেকেই গোল করেন স্যান্দ্রো।
বিরতি থেকে ফিরেই নিয়ন্ত্রিত আক্রমণ চালাতে থাকে সেলেসাওরা। ফলাফলও পেয়ে যায় জলদি। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ফ্রেডের পাস থেকে পাওয়া বল ‘ডি’ বক্সের বাহিরে থেকে জোরালো শট নেয় নেইমার। গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে ওই শট চলে যায় পেরুর জালে। এরপর ৮৯ মিনিটে এভারটন ও শেষদিকে পেরুর কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন রিচারলিসন। খেলার অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এতেই নিশ্চিত হয়ে যায় ব্রাজিলের টানা দ্বিতীয় জয়।
প্রসঙ্গত, ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) তৃতীয় ম্যাচে সকাল ৬টায় কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে নেইমার-জেসুসরা। আর ২৮ জুন রাত ৩টায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে লড়বে তারা।