নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কপ-২৬ প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা। বাংলাদেশ সফর শেষে কপ-২৬ প্রেসিডেন্ট এমন আশা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন।
কপ-২৬ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্ব যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তা মোকাবিলা করতে প্রয়োজন কার্যকর বৈশ্বিক সহযোগিতা। জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরে আমার ভালো লেগেছে। আমি আনন্দিত যে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দৃঢ় ও সক্রিয় ক্লাইমেট পার্টনারশিপটি এ সফরে আরও সুদৃঢ় হয়েছে।’
অলোক শর্মা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব নিরসন করতে বাংলাদেশে যে উদ্ভাবনমূলক কাজ দেখেছি, তাতে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত। একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এবারের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ নিয়ে আমরা আশাবাদী। কপ-২৬ এর আগে আমি প্রত্যাশা করছি যে, বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপনের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখবে।’
চলতি বছরের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সম্মেলন কপ–২৬ সামনে রেখে ২-৪ জুন বাংলাদেশ সফর করে গেলেন ব্রিটিশ আইন প্রণেতা অলোক শর্মা। সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও তরুণদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়াও অলোক শর্মা সুন্দরবন পরিদর্শন করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরসনে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে ব্রিটিশ এ আইন প্রণেতা বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুন্দরবন বায়ুর গতি প্রশমন করে ঝড়ের তীব্রতা থেকে আশেপাশের লোকালয়কে প্রাকৃতিক উপায়ে সুরক্ষা দেয়। দুর্ভাগ্যক্রমে, শিল্পায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ফলে সুন্দরবনের এ প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা দিন দিন কমে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ সফরে অলোক শর্মা আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক শক্তি উৎপাদন থেকে সরে আসবে।