নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
জনগণের প্রকৃত সেবক হিসেবে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি নিজেও জনগণের সেবক। বুধবার ১১৯তম এবং ১২০তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী এবং সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী প্রজন্মের মানুষ যাতে আরও সুন্দর জীবন পায় সে লক্ষ্যে ২১০০ সালের বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভূখণ্ডে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষ কীভাবে বসবাস করবে, তাদের যেন আমাদের মতো কষ্ট না করতে হয়, বঞ্চনার শিকার না হয়, তারা যেন সুন্দর জীবন পায় সেই লক্ষ্যে আমি ২১০০ সালের পরিকল্পনা করে দিয়ে গেলাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ২০০৮ এর নির্বাচনে তার একটা রূপরেখা দিয়েছিলাম। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চাই, সেই পরিকল্পনা নিয়েই আমরা কিন্তু পরিকল্পনা প্রণয়ন করি; বাস্তবায়ন করি। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতিসংঘ তখন এমডিজি ঘোষণা দিয়েছিল।
‘আমরা এখন ২০২১ এ এসে উন্নয়নশীল দেশে মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের এটাকে ধরে রাখতে হবে। এখান থেকে আমরা যেন কোনোমতে পিছিয়ে না যাই। উন্নয়নশীল মর্যাদা পেতে যে উপাত্ত প্রয়োজন তা কিন্তু আমরা অর্জন করেছি। আমরা অগ্রগামী আছি।’
দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন যেটা প্রনয়ণ করেছি সেটা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন বাংলাদেশ হবে। সেটার পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে দিয়েছি। আমরা সেইভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
৪১ সালের বাংলাদেশের জন্য প্রশাসনের নবীন অফিসারদের কাজ করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা থাকবেন সেই ৪১ এর সৈনিক। এরপর আসবে ২০৭১। তখন আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উৎযাপন করব। আমাদের লক্ষ্য ৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেল্টা প্ল্যান পরিকল্পনা আমরা করে দিয়েছি।’
‘আমি চাই আপনারা নিজেদের কাজ করবেন, জনগণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবেন’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘জনগণের সেবক হোন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তোলা।…প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আপনাদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করতে হবে জনগণের জন্য। জনগণের সেবক হিসেবে।’
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে এই হচ্ছে আমার জীবনের স্বপ্ন। এই অল্প কথার মাধ্যমে এটা প্রতীয়মান হয় যে, তিনি কী কারণে সারাটা জীবন সংগ্রাম করেছেন।
‘মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি প্রদেশ ছিল বাংলাদেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও সকল সুবিধা থেকে ছিল বঞ্চিত। স্বাধীনতার পর তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেন। যেখানে একটি টাকাও রিজার্ভ মানি ছিল না। কোনো খাদ্য ছিল না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেইভাবেই কিন্তু শূন্য থেকে যাত্রা শুরু। বঙ্গবন্ধু একদিক থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলেন, অন্যদিকে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কাজ করেন।’