নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জনগণের করের টাকা থেকে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নাশতার খরচ মিটিয়ে বিপাকে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মেরিন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। স্থানীয় ট্যাবলয়েড ইলতালেতির বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে গঠিত সরকারি কোষাগার থেকে নাশতার জন্য ভর্তুকি বাবদ খরচ কেটেছেন মেরিন, যা দেশটির আইনবিরুদ্ধ। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন কেসারান্তায় থাকেন মেরিন।
তার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ, পরিবারের সবার সকালের নাশতার খরচ হিসেবে প্রতি মাসে ৩৬৫ ডলার করে ওঠান তিনি।
সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বিরোধীদের মন্তব্য, জনগণের টাকায় কেনা ডিম রূপচর্চার জন্য মুখে মাখেন ৩৫ বছর বয়সী এই নারী সরকারপ্রধান। জনগণের কর থেকে সকালের নাশতার খরচ আসে স্বীকার করে পাল্টা জবাবও দিয়েছেন মেরিন।
তিনি জানিয়েছেন, ফিনল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রীরাও এ সুবিধা পেতেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি এ সুবিধা চাইনি। এ সিদ্ধান্তও আমার নয়।’
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নিয়েছে ফিনল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমগুলো। তারা বলছেন, করের অর্থে প্রধানমন্ত্রীর সকালের নাশতার খরচ বহন করা ফিনল্যান্ডের আইনের পরিপন্থি।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দাপ্তরিক নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে তদন্তের অনুরোধ পায় পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পক্ষ থেকে বিচারপূর্ব তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
তবে মেরিন বা তার সরকারি আচরণবিধি নয়, এই তদন্ত হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভেতরে কর্মকর্তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে।
পুলিশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মেরিন বলেন, তদন্ত চলাকালে সরকারি কোষাগার থেকে সকালের নাশতার খরচ বন্ধ রাখবেন তিনি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ব্যাপক জনসমর্থন পেয়ে আসছেন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক মেরিন।
ইউরোপে করোনাভাইরাস মহামারির তীব্রতার মধ্যেও ফিনল্যান্ডে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হওয়ার জন্য ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে তার সরকার।
ফিনল্যান্ডে আগামী ১৩ জুন স্থানীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মেরিনের দলকে পেছনে ফেলে কট্টর ডানপন্থিদের উত্থান ঘটবে বলে আভাস মিলেছে নির্বাচনপূর্ব জরিপে।