
মালিকের অনুপস্থিতিতে উপজেলা চত্ত্বরে লাগানো ফুল গাছের পাতা খেয়ে ফেলায় বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে ছাগলকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছেন, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম রব্বানী তার ফেসবুকে তুলে ধরেন।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলা-জরিমানা করতে হলে অভিযুক্তকে অবশ্যই আনিত অভিযোগ স্বীকার করতে হয়, এই ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা মূল্যের ফুল গাছের পাতা চিবিয়ে খেয়েছেন, এই অভিযোগ ছাগল মহোদয়, UNO মহোদয় এর সামনে স্বীকার করেছেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে!
যাইহোক, ছাগল মালিক জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে UNO আপা জরিমানা উসুল করতে ৫ হাজার টাকায় ছাগলটি বিক্রি করে দিয়েছেন!
আমরা
Team Positive Bangladesh (TPB) এর পক্ষ থেকে জরিমানার দুই হাজার টাকা পরিশোধ করে দেবো এবং ছাগলের কারণে যে কয়টি ফুলগাছ নষ্ট হয়েছে, আগামীকাল তার দ্বিগুণ ফুলগাছ উপজেলা চত্ত্বরে লাগানোর ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ।
আশা করি, জরিমানার অর্থ পাওয়ামাত্রই UNO আপা যেন ছাগলটি স্ব-সম্মানে মালিক সাহেরা বেগমকে হস্তান্তর করবেন এবং জরিমানার টাকা দিয়ে আরো সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ কিনে উপজেলা চত্ত্বরে লাগাবেন।
#বিঃদ্রঃ আইনের মিনিমাম ব্যাসিক প্রিন্সিপাল, নর্মস, জুরিসপ্রুডেন্স না জানা, আইন ভিন্ন অন্যকোন বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স করা এডমিন ক্যাডারদের হাতে বিচারিক ক্ষমতা একেবারেই বেমানান, ফলে আইন না জানা তথাকথিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে বারংবার এই বিচারিক ক্ষমতার মিসইউজ হচ্ছে আর এতে ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ! এই ম্যাল প্রাকটিস বন্ধ করতে ববে, ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো এবং বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ শুধুমাত্র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে হওয়া জরুরী।
গোলাম রব্বানী
সাবেক সাধারন সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া