চীন মুসলিমদের মুছে ফেলতে চাইছে – অ্যামনেস্টি চীন মুসলিমদের মুছে ফেলতে চাইছে – অ্যামনেস্টি – Narail news 24.com
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াইলে প্রতারক গ্রেপ্তার  নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত নড়াইলে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন অতিঃ জিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান নড়াইলে হরিলীলামৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী প্রদান লোহাগড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণগেল এক জনের, আহত ১ লোহাগড়ায় ঘোষনা দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়লেন অধ্যক্ষ মোশারফ সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে – আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নড়াইলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে আহত ৫, অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৪

চীন মুসলিমদের মুছে ফেলতে চাইছে – অ্যামনেস্টি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১১ জুন, ২০২১

নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে ১৬০ পৃষ্ঠার নতুন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ‘আমরা যেন যুদ্ধে শত্রুপক্ষ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই সময়ের মধ্যে তারা ১২৮ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

এর মধ্যে ৫৫ জন চীনের উইঘুর শিবিরে ছিলেন। আর ৬৮ জন সেইসব পরিবারের সদস্য, যেসব পরিবারের কেউ না কেউ হারিয়ে গেছেন বা তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

রিপোর্ট বলছে, জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছে। মুসলিমদের ভয় দেখানোর জন্য চীন তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সাইটগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। প্রচুর সাক্ষী অ্যামনেস্টিকে বলেছেন, চীন মুসলিমদের মুছে ফেলতে চায়।

অনেকে বলেছেন, তাদের মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকি মসজিদে এবং মুসলিমদের বাড়িতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকেই বলেছেন, তারা চীনে নিজেদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে ভয় পাচ্ছেন। তারা জানেন যে, রাষ্ট্র তাদের ওপর নজর রাখছে।

উইঘুর শিবিরের কথা:

রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনো রকম সতর্কতা ছাড়াই মাঝরাতে বাড়ি থেকে তুলে উইঘুরদের শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের তথাকথিত শিক্ষা-শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জোর করে নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করানো হয়। তারপর তাদের মধ্যে কিছু মানুষকে শিবিরে রাখা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়- তারা সন্ত্রাসবাদী এবং বিশ্বাসযোগ্য নয়।

যাদের শিবিরে আটকে রাখা হয়েছিল, তাদের কয়েকজন অ্যামনেস্টিকে বলেছেন, শিবিরের অবস্থা চীনের কারাগারের থেকেও খারাপ। তাদের সংশোধন-ক্লাসে যেতে হয়। তার আগে সারাদিন তাদের বসিয়ে রাখা হয়। শিবিরের ক্লাসে তাদের ইসলামের ‘খারাপ’ দিকগুলো বাধ্যতামূলকভাবে শিখতে হয়।

অ্যামনেস্টির সুপারিশ:

এই মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, অপরাধের অকাট্য প্রমাণ না থাকলে শিবির থেকে সব উইঘুর মুসলিমকে মুক্তি দিতে হবে চীনকে। একইসঙ্গে এই শিবির বন্ধ করতে হবে। উইঘুরদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অত্যাচার ও তাদের হেনস্তা করা বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ও অপরাধের তদন্ত করতে আন্তর্জাতিক দল পাঠাতে হবে।

অ্যামনেস্টির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেছেন, ‘চীন মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছে, তা তথ্য-সহ এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। অন্য দেশগুলোকে সাহসী ভূমিকা নিতে হবে এবং চীনকে এই কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে।’

অ্যাগনেস আরও বলেছেন, ‘আমাদের দেওয়া তথ্যপ্রমাণগুলো জানার পরও দেশগুলোর পক্ষে চুপ করে বসে থাকা মুশকিল।’

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে উইঘুরদের প্রতি চীনের নীতিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। চীন অবশ্য উইঘুরদের বিরুদ্ধে কোনোরকম অত্যাচারের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি, চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশগুলো হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x