স্টাফ রিপোর্টার:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নড়াইলে কখনও রৌদ্র-কখনও বৃষ্টি এভাবেই দিন অতিবাহিত হয়। পূর্ণিমার কারনে চিত্রাসহ বিভিন্ন নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে ওঠছে। রাতে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানাগেছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জেলায় থেমে থেমে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হলেও জেলার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে নড়াইল নিউজ ২৪.কমকে জানান, জেলা ত্রান কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান।
এদিকে দেশের ১৪ জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এসব জেলার ২৭ উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। বুধবার (২৬ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১৪ জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়েছে বলে আমরা জেনেছি।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৬ হাজার ৫০০ শুকনা ও নরম খাবারের প্যাকেট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বিতরণের কার্যক্রম চলবে।
ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্যামনগর, আশাশুনি, কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, শরণখোলা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ, মঠবাড়িয়া, বরগুনা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, পটুয়াখালী সদর, গলাচিপা, রাঙ্গাবালী, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, কলাপাড়া, চরফ্যাশন, মনপুরা, তজুমদ্দিন, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, হাতিয়া, রামগতি ও কমলনগর।