গোপনে বিয়ে করে ফেললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ওয়েস্টমিনিস্টারের একটি ক্যাথিড্রালে স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ মে) রাতে নিজের প্রেমিকা ক্যারি সাইমন্ডসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। যদিও এই বিয়ে নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ১০ ডাউনিং স্ট্রিট। সূত্র: বিবিসি
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে কিছু ‘বিশেষ ঘনিষ্ঠ’ অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয় বরিস জনসনের বিবাহ অনুষ্ঠানে। এমনকি এই বিয়ের আগাম কোনো তথ্যই ছিল না প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক কর্মকর্থাদের কাছেও। এদিকে, ব্রিটেন জুড়ে চলছে কোভিডের কড়া বিধিনিষেধ। বিবাহ অনুষ্ঠানে ৩০ জনের বেশি অতিথি আমন্ত্রণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই কঠোর করোনা বিধিনিষেধ মেনেই স্বল্প সংখ্যক অতিথির উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠিত হয় ৫৬ বছরের বরিস জনসন ও ৩৩ বছরের ক্যারি সাইমন্ডসের বিয়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর থেকেই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে বান্ধবী ক্যারি সাইমন্ডসকে নিয়ে থাকতেন বরিস জনসন। গত বছরই বরিসের সন্তানের মা হন ক্যারি। তবে শোনা গিয়েছিল তারা ২০২২ সালের জুলাই মাসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
যদিও এর আগেও দু’বার বিয়ে করেছিলেন বরিস। ২০১৮ সালে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। যদিও তার কত জন সন্তান রয়েছে, তা নিয়ে কখনও মুখ খোলেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয়ের আগেই ক্যারি সাইমন্ডসকে পেয়েছিলেন বরিস জনসন। এক চ্যারিটি প্রোগ্রামে পরিচয়, পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর বাগদান এবং তার কিছু দিনের মধ্যেই করোনা মহামারি। ফলে দু’জন বারবার খবরের শিরোনামে এলেও করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিয়ের ঘোষণাটা দেওয়া হয়নি।
অবশ্য তাতে দু’জনের একসঙ্গে বসবাস থেমে থাকেনি। ব্রিটেনের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে বিয়ে না করা সঙ্গিনীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। পরের বছর বরিস আর কেরির ঘর আলো করে আসে ছেলে উইলফ্রেড।
করোনা মহামারি না থাকলে আরও আগেই হয়তো বিয়েটাও হয়ে যেতো। তবে এখন বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় নতুন একটা রেকর্ডে প্রায় ২০০ বছর পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লর্ড লিভারপুলের পাশে নিজের নাম লেখালেন বরিস জনসন। ১৮২২ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিয়ে করার প্রথম দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন লর্ড লিভারপুল।