নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সরকারি কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সিএমএসডি) ঝটিকা অভিযান চালিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় তিনি সেখানে শত শত কার্টন ভর্তি নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম দেখতে পান।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পুরো প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুপুরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমকে নিয়ে এই ঝটিকা অভিযানের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিএমএসডিতে গিয়ে প্রায় ৩৫ মিনিট পুরো স্টোরেজ ঘুরেফিরে দেখেন এবং সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
অভিযানের সময় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী শত শত কার্টনে ভর্তি নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং নানা বিষয়ে অনিয়ম দেখতে পান। নানারকম জরুরি স্বাস্থ্যসেবার পণ্য সেখানে অনেক দিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। অনেক জরুরি পণ্য অব্যবহৃত অবস্থায় সেখানে মেয়াদ শেষ হয়ে গেল কীভাবে তা উপস্থিত সিএমএসডিতে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অধিকাংশ প্রশ্নেরই উত্তর করতে পারেননি উপস্থিত সিএমএসডি কর্মকর্তারা।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব অনিয়ম দেখে এই স্টোরের সব মালামালের তালিকাসহ, কোনো মালামাল কত তারিখে ডেলিভারি হয়েছে এবং আগামীতে কোন পণ্য কবে ডেলিভারি করা হবে সেগুলোসহ, কেন এত বিরাট সংখ্যক মালামাল নষ্ট হয়ে পড়ে আছে; তার কারণ জানিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রীর কাছে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমকে এই রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ে সংগ্রহ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে একটি জরুরি মিটিংয়ে বসার কথা জানান।