নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, যথেষ্ট মজুত থাকায় করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকাদান চালু থাকবে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ টিকাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শনিবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়, ২৬ ফেব্রুয়ারির পর প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হবে না। এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘ভয়ের কোনো কারণ নেই। আজকের পরও প্রথম ডোজ টিকা চালু থাকবে। দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজও চলমান থাকবে। আমাদের কাছে যথেষ্ট টিকা মজুত আছে।
‘যত টিকা লাগবে, আমরা দিতে পারব। কারণ আমাদের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকা আছে।’
অতিরিক্ত টিকা অন্য দেশকে দেয়ার ভাবনার কথাও জানান জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা এ চিন্তাও করছি, যদি আমাদের টিকা অতিরিক্ত হয়ে যায়, তাহলে যে দেশ পায়নি সেই দেশকে আমরা টিকা দিয়ে দেব।’
করোনাভাইরাস থেকে দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য ২৮ কোটি টিকা কিনেছে সরকার। এখনও ৯-১০ কোটি টিকা মজুত আছে।
অপরদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, মানুষের বিপুল আগ্রহে গণটিকার মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাম্পেইনের আওতায় টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডা. ফ্লোরা বলেন, আমরা দেখছি টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
তবে সারাদেশে টিকা দেওয়ার মেয়াদ বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব জায়গায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে, সেগুলোতে বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তবে যেসব জায়গায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি, পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও আগ্রহ রয়েছে, সেগুলোতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্তই টিকা কর্মসূচি চলবে।
তিনি বলেন, চলমান টিকা কর্মসূচি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চললেও আমাদের স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। তখন দ্বিতীয় ডোজ আর বুস্টার ডোজের পাশাপাশি কেউ প্রথম ডোজের জন্য আসলেও তাদের আমরা টিকা দেবো।দেশে যতজন টিকার উপযুক্ত, তাদের সবাইকে আমরা টিকার আওতায় আনব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টার্গেট অনুযায়ী আমাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি। এর বেশি দিতে পারলে আমরা তাই দেবো।