নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মুঠোফোনে কথা বলছিলেন । এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এক এসটিআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওসি প্রদীপকেও সতর্ক করেছে আদালত।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বুধবার সিনহা হত্যা মামলার তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণের সময় তাকে সতর্ক করা হয়।
একই সঙ্গে ঘটনার সময় কাঠগড়ার সামনে দায়িত্বে থাকা চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করে বলেন, প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আছেন এসটিআই শাহাব উদ্দিন এবং তিন কনস্টেবল।
এর আগে মঙ্গলবার ফেসবুকে ভাইরাল হয় আদালতের কাঠগড়ায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় প্রদীপের একটি ছবি।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোমবার সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনে কাঠগড়ায় ছিলেন প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামি।
প্রদীপের পরনে ছিল কালো রঙের জামা। ভাইরাল ছবিতে যে ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে, তার পরনেও ছিল কালো জামা।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলেও ওই ছবি প্রচার করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে বসে আছেন এক ব্যক্তি। হাতে থাকা মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। তার মাথায় চুল কম। তাকে ঘিরে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছেন।
মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিন প্রদীপ আদালতে আসেন গোলাপি রঙের জামা পরে। এ সময় তাকে ঘিরে রাখেন পুলিশ সদস্যরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, কাঠগড়ায় মোবাইল ফোনে প্রদীপই কথা বলেন। বেশ লম্বা সময় তাকে ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেয়া যায়। তিনি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে থাকতে পারেন। কথা বলার জন্য ফোনটি প্রদীপকে দেন এক পুলিশ সদস্য।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার ওই ছবিটি আজকের নয়। তবে সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিনের (সোমবারের) হতে পারে। কে বা কারা এই ছবি তুলেছেন, তা পরিষ্কার নয়। ফোনে প্রদীপ কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা বের করা জরুরি।
বিচার বিভাগীয় বাতায়নের দেয়া আদালতের আচরণবিধির কথা উল্লেখ করে ফরিদুল আলম বলেন, আদালত চলাকালে বিচারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাইরের লোকজনের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীরাও আদালতের ভেতরে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেখানে মুঠোফোন বন্ধ রাখার নির্দেশনাও রয়েছে।