একটি আইএমইআই নম্বরে দেড় লাখ মোবাইল ফোন ! একটি আইএমইআই নম্বরে দেড় লাখ মোবাইল ফোন ! – Narail news 24.com
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত নড়াইলে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন অতিঃ জিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান নড়াইলে হরিলীলামৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী প্রদান লোহাগড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণগেল এক জনের, আহত ১ লোহাগড়ায় ঘোষনা দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়লেন অধ্যক্ষ মোশারফ সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে – আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নড়াইলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে আহত ৫, অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৪ নড়াইলে সার্ভে ডিপ্লোমাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ৩ দিনের কর্মবিরতি পালিত

একটি আইএমইআই নম্বরে দেড় লাখ মোবাইল ফোন !

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

মোবাইল ফোনের পরিচয় বহন করে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি তথা আইএমইআই নম্বর। একটি মোবাইল হ্যান্ডসেটে একটি আইএমইআই নম্বর এবং দুটি সিম সংযুক্ত হয়- এমন মোবাইলে দুটি আইএমইআই নম্বর থাকে। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে শুধু একটি আইএমইআই নম্বরের নিবন্ধন দিয়ে অন্তত দেড় লাখ মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে গ্রাহকের হাতে চলে গেছে এসব অবৈধ মোবাইল ফোন। এমন অভিযোগ করেছেন দেশের মোবাইল উৎপাদকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সেমিনারে মোবাইল ডেটাবেজের উপাত্ত তুলে ধরে এ তথ্য জানান টেলিকম অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার শাহেদ আলম।

টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবির আয়োজনে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় শাহেদ আলম বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে এখন পাঁচটি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়। এ ফোনগুলোর বিপরীতে একটি আইএমইআই নম্বরে রেজিস্ট্রেশন করা আছে ১ লাখ ৫০ হাজারের ওপরে হ্যান্ডসেট। দেড় লাখ হ্যান্ডসেটে আছে একটিমাত্র আইএমইআই নম্বর; সব কপি।

‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর না হওয়া এবং গ্রে-মার্কেটের কারণে আমাদের জন্য একটি মোবাইল ডিভাইস লকিং গাইডলাইন দেয়া হয়েছে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই গাইডলাইন কোনো কাজে আসছে না; কেননা এর শর্তগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। সেটে থাকা দুটি সিম স্লটের মধ্যে একটি বন্ধ রেখে আরেকটা চালু রাখার ক্ষেত্রে এটা কাজ করছে না।’

এ তথ্য জেনে চমকে ওঠেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘কী বলেন! এটা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।’

এ সময় সেমিনারে উপস্থিত পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

জবাবে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে যখন অভিযান করি, তখন দেখি আপনাদের মতো এমন অফিস বানিয়ে তারা ব্যবসা করছে এবং হ্যান্ডসেট বানাচ্ছে। এক অভিযানে ৭০০ মোবাইল জব্দ করি। চীনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ এনে তারা এ মোবাইলগুলো বানাচ্ছে; দুই-তিন মাস চালানোর পর তা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু মোবাইল নয়, গাড়ির ক্ষেত্রেও এমনটা দেখেছি। এক নম্বর দিয়ে ২৯টা গাড়ি চলছে।’

সেমিনারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক কারখানাগুলোর নতুন সংগঠন মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শাহিদ, সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক, এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব.) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এনইআইআর বাস্তবায়ন করে উজবেকিস্তানে ৭০০ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে। আজারবাইজানের ৯৮ শতাংশ হ্যান্ডসেট এখন নিবন্ধিত হয়েছে। নিবন্ধন জটিলতার কারণে বাংলাদেশে এনইআইআর বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। অথচ মোবাইল অ্যাডাপশন ৪০ শতাংশ বাড়লে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হয় ৪.৮ শতাংশ। ৬৭ শতাংশ মোবাইল ব্রডব্যান্ড অ্যাডাপশন হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১২ শতাংশ।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবি সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রবিন।

সংগঠনের সভাপতি রাশেদ মেহেদী বলেন, ‘ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আমাদের অস্তিত্ব কেবল একটি ডিভাইস। এটা নিজের পরিচিতি ও আবাস। অপারেটর ও ম্যানুফ্যাকচারের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সমঝোতা হলে আমরা অনেক দামি সেটও কম দামে পেতে পারি। এ সমন্বয় না থাকায় দেশে গ্রে মার্কেট বাড়ছে।’

সেমিনারে মোবাইল উৎপাদকরা দাবি করেন, লাগেজে আনা কর ফাঁকি দেয়া মোবাইল ফোন দেশের মার্কেটগুলোতে বাজারজাত বন্ধে সরকারের মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়াতে হবে।

তারা বলেন, এসব অবৈধ ফোন বাজারজাতকরণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থাগুলো ব্যবস্থা না নিলে ফোন কারখানাগুলো থেকে কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হবেন হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা।

হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা জানান, হ্যান্ডসেট সংযোজনে বর্তমানে ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। ১৬ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ডসেটের বাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ লাগেজ-ব্যাগেজে আনা অবৈধ মোবাইল ফোনের দখলে। এতে বছরে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। টিকতে না পেরে স্মার্ট ও ফিচারফোন মিলিয়ে ৪০ লাখ উৎপাদন সক্ষমতার ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকছে।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান জোরদারের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x