নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়। চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে ভোটের সময় দুই ঘণ্টা বাড়ানো হতে পারে। শনিবার দুপুরের দিকে ইরানিরা ফল জেনে যাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। বিবিসি ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানের এবারের নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত চার প্রার্থী লড়ছেন।
তারা হলেন কট্টর রক্ষণশীল প্রার্থী এব্রাহিম রাইসি, মোহসেন রেজাই, আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি ও সংস্কারপন্থি আব্দলনাসের হেম্মাতি।
মতামত জরিপে ইরানের প্রধান বিচারপতি শিয়া ধর্মীয় নেতা রাইসিকে নির্বাচনি দৌড়ে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। জয়ের মুখ শেষ পর্যন্ত রাইসি দেখলে ইরানের টানা দুবার ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
নির্বাচনে রাইসির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দলনাসের হেম্মাতি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে প্রায় ৪০ নারীসহ ৬০০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেবল সাতজনকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দেয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টের অভিভাবক পরিষদ (গার্ডিয়ান কাউন্সিল)। এতে অনেক ভোটারই হতাশ হন।
রুহানি জানান, নির্বাচনে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চিঠিতে খামেনিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অনেক যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন খামেনি। রুহানির চিঠির জবাবে তিনি বলেন, কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ থাকায় অন্যায়ভাবে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে।
নির্বাচনের শেষ সময়ে বুধবার সাত প্রার্থীর মধ্যে তিনজন নিজেদের নির্বাচনি লড়াই থেকে সরিয়ে নেন। তারা হলেন সংস্কারপন্থি মোহসেন মেহরালিজাদেহ, চরমপন্থি আলিরেজা জাকানি ও রক্ষণশীল সাঈদ জালিলি।
ইরানের রাজধানী তেহরানে নিজের ভোট দেয়ার পর সব ভোটারকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান খামেনি।
৬ কোটি ভোটারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ভোট গণনা করা হবে। ভোট দিতে আসুন, আপনার প্রেসিডেন্টকে ভোট দিন। এটি আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
ইরানের ভিন্নমতাবলম্বী ও সংস্থারপন্থি শিবিরের অনেকে আগেই নির্বাচন বর্জনের ডাক দেন। তাদের ভাষ্য, গার্ডিয়ান কাউন্সিল বেশ কয়েকজন যোগ্য প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনি লড়াইয়ে রাইসির শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।