নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই জানিয়েছে রাশিয়ার ওপর চাপ ক্রমাগতভাবে বাড়াতে পূর্ব ইউরোপে সেনা বাড়ানোর কথা । এবার একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ সংবাদ জানায়।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তারাও ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে পূর্ব ইউরোপে সেনা দ্বিগুণ করার কথা ভাবছে। সে অঞ্চলে সেনা দ্বিগুণ করতে একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ন্যাটোকে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, সেনা বৃদ্ধি করে ক্রেমলিনকে একটি ‘পরিষ্কার বার্তা’ দিতে চায় তার দেশ।
ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে ডিফেন্স অ্যান্ড ফরেন সেক্রেটারি মস্কোতে মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দু-এক দিনের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করবেন বরিস জনসন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চলতি সপ্তাহেই পূর্ব ইউরোপ সফর করেছেন। তিনি এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাজ্য রাশিয়ার এমন ‘অস্থিতিশীল কার্যকলাপ সহ্য করবে না এবং আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে আছি।’
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন যদি রক্তপাত ও ধংসাত্মক পথ বেছে নেয় তবে সেটি হবে ইউরোপের জন্য একটি ট্র্যাজেডি। ইউক্রেনের স্বাধীন পথ বেছে নেয়ার অধিকার রয়েছে।
‘আমি আমাদের সামরিক বাহিনীকে আগামী সপ্তাহে পূর্ব ইউরোপে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন আমাদের ন্যাটো মিত্রদের স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সহায়তা করতে পারে।’
রাশিয়া কিছুদিন আগে ইউক্রেন সীমান্তে ১ লাখ সেনা, ট্যাংক, আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছে। তবে দেশটি ইইউ সীমান্তবর্তী সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটিতে আক্রমণের পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাজ্য তাদের অন্তত ৯০০ সেনা নিয়ে এস্তোনিয়ায় একটি বেসক্যাম্প স্থাপন করেছে। এ ছাড়া ইউক্রেনে ১০০ সেনা রাখার কথা জানিয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের কারণে। পাশাপাশি হালকা অস্ত্রে সজ্জিত দেড় শ অশ্বারোহী সেনা পোল্যান্ডে মোতায়েন করেছে।
ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তে রুশ সেনা জমায়াতের জবাবে হুঁশিয়ারি নয়, গত সপ্তাহে সরাসরি ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই সঙ্গে দেশটি সেনাও পাঠিয়েছে। তবে কতজন সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
অবশ্য এসব হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কা করেনি রাশিয়া। ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনাই নেই তাদের।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়ান উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট ইউক্রেনিয়ান বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।