নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
ফরিদপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আয়া দিয়ে প্রসূতির সিজারের ঘটনা ঘটেছে। সিজারের সময় নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় নবজাতককে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
পরে প্রাইভেট ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকায় অবস্থিত আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে শনিবার সকালে সিজারের জন্য ভর্তি হন রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ এলাকার জনৈক রুবেন বেগম। সকাল ৮টার সময় প্রসূতিকে সিজার করান হাসপাতালটির আয়া চায়না রহমান। সিজারের সময় নবজাতকের কপাল ও চোখের একটি অংশ কেটে ফেলা হয়। এতে মারাত্বক ভাবে ক্ষতি হয় নবজাতকের। তার কপালে ৯টি সেলাইয় দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে সেখানে উপস্থিত হয় থানা পুলিশের একটি দল। এরসময় আটক করা হয় চায়না রহমান নামের সেই আয়াকে ও ক্লিনিকের মালিক পলাশ মোল্যাকে। পরে ঘটনাস্থলে হাজির হন সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ক্লিনিক চালানোর প্রয়োজনীয় কাগহপত্র না থাকা এবং আয়াকে দিয়ে সিজার করানোর অপরাধে ক্লিনিকটিতে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।