নড়াইল নিউজ ২৪.কম আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকা দখলে শয়ে শয়ে তালেবান সেখানে উপস্থিত হয়েছে। উপত্যকার প্রায় চারদিকেই তালেবান অবস্থান নিলেও শক্ত প্রতিরোধের ঘোষণা আগেই এসেছে পাঞ্জশির থেকে। আফগানিস্তানের প্রয়াত জাতীয় বীর আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ পাঞ্জশির উপত্যকা রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন। তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না বলেও আগেই জানান দিয়েছেন।
আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডটোলোনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে তিনি তালেবানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন। যদি তালেবানের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতায় না পৌঁছাতে পারেন তাহলে যুদ্ধ করেই পাঞ্জশির নিজেদের দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মাসুদ।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে মাসুদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব। তবে আমরা লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত আছি।’
তালেবানের দাবি, তারা পাঞ্জশির প্রদেশের প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের যোদ্ধারা সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েই সেখানে অবস্থান করছে।
১৫ আগস্ট দেশটির শাসন ক্ষমতা দখল করে তালেবান। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বধীন ন্যাটো সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল দখল করতে শুরু করে তালেবান।
কাবুল দখলের পর প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আশ্রয় নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
পরে দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ নিজেকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। সেই আমরুল্লাহ সালেহ পাঞ্জশিরের বাসিন্দা।
দেশটি দুই দশক আগে যখন তালেবান শাসন করেছে তখনও পাঞ্জশির ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এবারও তেমনটাই ছিল।
সেই পাঞ্জশির নিজেদের করে নিতে সেখানে তালেবানরা যাত্রা করে দুদিন আগে।
আমরুল্লাহ সালেহ এক টুইটে বলেন, সালাং হাইওয়ে এখনও তাদের সেনারা দখলে রেখেছে এবং সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তালেবান বলছে তারা এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তালেবান পাঞ্জশিরের আশপাশে তাদের যোদ্ধাদের জড়ো করেছে।
সাবেক ভাইসপ্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এক টুইটে বলেন, ‘পাঞ্জশিরের বাহিনী তালেবানকে প্রতিহত করেছে।’
তিনি লেখেন, ‘প্রতিবেশী অন্দরব প্রদেশে অ্যাম্বুশে পড়ার এক দিন পর তালিবরা পাঞ্জশিরে তাদের যোদ্ধা জড়ো করা শুরু করেছে। যদিও সালাং হাইওয়ে এখনো পাঞ্জশির বাহিনীর দখলে আছে। দেখা হবে।’
আহমদ শাহ মাসুদের পুত্র আহমদ মাসুদ বলেন, ‘আমি আমার শক্ত ঘাঁটি পঞ্জশির উপত্যকায় আছি, পাঞ্জশির উপত্যকার মানুষ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। তারা তাদের ভূমি রক্ষা করতে চায়, তারা যুদ্ধ করতে চায়, তারা যেকোনো সর্বগ্রাসী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে চায়।’