নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো অনুমোদন না দিলে আফগানিস্তানে তালেবানের অন্তবর্তী সরকারকে বাংলাদেশও স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ে বুধবার বিকেলে তালেবান ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের উন্নয়নে জাতিসংঘ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) উদ্যোগ নিলে সে বিষয়ে সমর্থন দেবে বাংলাদেশ।’
মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান করে মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অন্তবর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এ সরকারে হাসান আখুন্দের ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল গনি বারাদার।
ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি।
সংগঠনের রাজনৈতিক প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্ট্যানেকজাইকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। আর তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুবকে করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তালেবান নেতা হেদায়াতুল্লাহ বদরিকে করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ জানান, আফগানিস্তানে নতুন ইসলামিক সরকারে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গত এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধের ইতি টেনে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সেনা ফেরত নেবেন। মে থেকে উজ্জীবিত তালেবান আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ দখল নিতে শুরু করে।
সবশেষ গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নিয়ে সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে কট্টর ইসলামপন্থি দলটি। তবে সরকার গঠনে সময় নিচ্ছিল তালেবান। সেই অপেক্ষার অবসান হলো।
কাবুল ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের পরই সম্ভাব্য সরকার নিয়ে তালেবান বলেছিল, তারা ২০ বছর আগের অবস্থানে নেই। এবার অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন করা হবে, যেখানে থাকবে সবার অংশগ্রহণ। রাখা হবে নারী প্রতিনিধি।
সময়ের সঙ্গে সুর পাল্টায় তালেবান। জানায়, এককভাবেই সরকার গঠন করবে তারা। রাখা হবে না কোনো নারী নেতৃত্বও। অন্তবর্তী সরকারেও তাই দেখা গেল।
তালেবান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধে দেশের ভগ্নদশা অর্থনীতি চাঙ্গা করা, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পর্ক স্থাপন করা।