নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
মামলায় বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর, তার বাবা, মা ও স্ত্রীসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার বড় বোন নুশরাত জাহান তানিয়া।
এ ঘটনায় এর আগে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছিলেন নুশরাত। সে মামলায় সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তাকে অব্যহতি দেয় পুলিশ।
এরপর সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীনের আদালতে ধর্ষণ-হত্যার মামলাটি করেন নুশরাত জাহান।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর(পিপি) মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাদীর আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন জানান, মামলার অন্য আসামিরা হলেন আনভীরের বাবা আহমেদ আকবর সোবহান, মা আফরোজা সোবহান, স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, শারমিন, সাইফা রহমান মিম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং ইব্রাহিম আহমেদ রিপন।
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই দিন রাতেই গুলশান থানায় মামলা করেন তার বড় বোন নুশরাত জাহান। এতে আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি আনভীরকে।
মামলার বরাতে পুলিশের গুলশান জোনের উপ কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, মুনিয়ার সঙ্গে বসুন্ধরার এমডি আনভীরের সম্পর্ক দুই বছরের। এক বছর মুনিয়াকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন আনভীর। পরে মনোমালিন্য হলে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যান। পরে মার্চে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন।
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। সেই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা হলে মুনিয়ার সঙ্গে আনভীরের মনোমালিন্য হয়। পরে মুনিয়া তার বোনকে ফোন করে জানান, যেকোনো মুহূর্তে তার যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে।
এই ফোনের পর কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন মুনিয়ার বোন নুশরাত। গুলশানের ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোয়ার ঘরে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।