নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি বলেছেন, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হচ্ছে। এদিন থেকেই শ্রেণিকক্ষে শুরু হবে পাঠাদান।
সচিবালয়ে রোববার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে। অভিজ্ঞতা বলছে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সংক্রমণের হার কম থাকে। আর টিকা কার্যক্রম যে গতিতে চলছে সে বিবেচনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু করব।’
ছাত্র-শিক্ষক সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরা ছাড়া কেউ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবে না। শিক্ষার্থী, শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সকলের মাস্ক পরতে হবে। একেবারে কমবয়সী যারা, তাদের কোনো সংকট হচ্ছে কি না তা শিক্ষকদের খেয়াল রাখতে হবে।’
‘যারা ২০২১ সালে এসএসসি-এইচএসসি আর আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ১৭ মাস যেহেতু শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ছিল না, তাই চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা করে ক্লাস নেয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে ক্লাসের সময়সূচি স্বাভাবিক করা হবে। বাকি সব শ্রেণিতে একদিন করে ক্লাস হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, কারো বাড়িতে কারো মধ্যে যদি করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকে তার ক্লাসে আসার দরকার নেই। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হাওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি হবে না।
যাদের বয়স ১২ বছর তাদেরকেও ভ্যাকসিনেশনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘টিকা প্রাপ্তি ও কারিগরি ব্যবস্থাপনা শেষ হলে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেএসসি, পিএসসি সব পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি আছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
খোলার আগে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী আছে কি না তা যাছাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।