অশুভ কোন শক্তি যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে না পারে – প্রধানমন্ত্রী অশুভ কোন শক্তি যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে না পারে – প্রধানমন্ত্রী – Narail news 24.com
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত নড়াইলে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন অতিঃ জিআইজি মোঃ হাসানুজ্জামান নড়াইলে হরিলীলামৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে সম্মানী প্রদান লোহাগড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণগেল এক জনের, আহত ১ লোহাগড়ায় ঘোষনা দিয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছাড়লেন অধ্যক্ষ মোশারফ সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল হবে – আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ১০ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নড়াইলে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালিয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীন কোন্দলে আহত ৫, অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৪ নড়াইলে সার্ভে ডিপ্লোমাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে ৩ দিনের কর্মবিরতি পালিত

অশুভ কোন শক্তি যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে না পারে – প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ছবি সংগৃহীত

নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অশুভ কোন শক্তি যেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত  হতে না পারে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার পরামর্শ দিয়ে বিদ্যুৎ খাতে তাঁর সরকারের দেয়া ভর্তুকির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার আহবান জানান । 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে আরো বেশি সংখ্যক জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের বৈষম্য আরো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।একইসঙ্গে সরকারের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার জন্য অশুভ কোন শক্তি যাতে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশকে যেন আবার সেই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে পিছিয়ে দিতে না পারে সে ব্যাপারেও দেশবাসীকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এই সময় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও  ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিল।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাঁচটি হচ্ছে- হবিগঞ্জের জুলদায় বিবিয়ানা-৩ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইউনিট-২, নারায়ণগঞ্জে মেঘনাঘাট ১০৪ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট, বাগেরহাটে মধুমতি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং সিলেটের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উত্তরণ।
বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহক ৪ কোটি ৯ লক্ষ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার ফলে গ্রাম পর্যায়েও তাঁর সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারায় গ্রামীন জনগোষ্ঠীর নাগরিক সুবিধা  অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা আমাদের সংবিধানে নির্দেশ করেছে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল। মানুষের মাঝে বৈষম্য কমিয়ে আনাই ছিল সেই স্বপ্ন, এই সুযোগ তাঁর সরকার সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ যারা ব্যবহার করেন তাদেরকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ আমরা যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি তার খরচ কিন্তু অনেক বেশি। কিন্তু আমরা গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য সেখানে ব্যাপকহারে ভর্তুকি দিচ্ছি। উৎপাদনের যে খরচ সেটা কিন্তু বিদ্যুৎ বিল হিসেবে আপনাদের দিতে হচ্ছেনা।
তিনি বলেন, অনেক কম টাকা বিল নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে সকলকে একটু অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনারা সচেতন হবেন। যখন লাগবেনা নিজের হাতেই নিজের ঘরে বিদ্যুতের সুইচগুলো বন্ধ করে রাখবেন। তাতে বিলটাও কম আসবে, আপনাকেও টাকা কম দিতে হবে। আর আমাদের বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে। এ বিষয় একটু নজর দিতে আমি সবাইকে অনুরোধ করবো।
আগামীতে দেশে বিদ্যুৎ চালিত মেট্রোরেল চালু হবে, পর্যায়ক্রমিকভাবে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের ব্যবস্থা সরকার করবে, বিদ্যুৎ চালিত গাড়ি উৎপাদন হবে দেশে, রেল খাতটাকে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ চালিত খাতে নিয়ে আসা সহ এরকম ভবিষ্যতের বহুপরিকল্পনা তাঁর সরকারের রয়েছে।
তিনি বলেন,‘কাজেই বিদ্যুৎ সবসময় আমাদের লাগবে। অতীতের ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট থেকে বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে দৈনিক ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের কাযক্রম সম্পর্কিত প্রকাশনা ‘হান্ড্রেড’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
জনগণের আর্থিক  সংগতি ও ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন একেবারে গ্রামের মানুষও টেলিভিশন, ফ্রিজ ব্যবহার করে। এমনকি এসিও ব্যবহার করে। অন্তত সেই সক্ষমতা আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছে। সেটা আরো বেড়ে উঠুক সেটাই আমি চাই।
গ্রাম এবং শহরের বৈষম্যটা যেন আর না থাকে এবং গ্রামের মানুষ যাতে সবধরণের সুযোগ- সুুবিধা পায়, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারে যদি আপনারা সাশ্রয়ী না হন তাহলে কত ভর্তুকি আমরা দিতে পারবো, সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। আর নিজের ঘরের বিদ্যুতের সুইচটা নিজে অফ করলে সেখানে লজ্জার কোন বিষয় নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘর থেকে বের হবার সময় যেখানে দেখি অপ্রয়োজনীয় সেখানকার বিদ্যুতের সুইচগুলো নিজের হাতেই অফ করি। গণভবনে বাস করলেও আমার নিজের অংশে বিদ্যুতের সুইচগুলো আমি অফ রেখে অভ্যাসটা ঠিক রাখি।
সব সময়তো আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। কারণ ক্ষমতার মেয়াদকাল মাত্র ৫ বছর। কাজেই যখন ক্ষমতায় থাকবেন না তখনতো আবার নিজের মতই চলতে হবে। তাই অভ্যেসটা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে তিনি লক্ষ্য রাখেন বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সবাইকে বলবো মিতব্যয়ী হন যেটা সাশ্রয় হবে সেটা দিয়ে আমরা হয়তো আরেকটা গরিব মানুষকে সহায়তা দিতে পারবো এবং দেশ এগিয়ে যাবে। আর এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী চলমান কোভিড-১৯ প্রতিরোধে তাঁর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতার প্রসংসা করে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। তাঁর সরকার ভ্যাকসিন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে এবং দেশের একজনও যাতে ভ্যাকসিন দেয়া থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য যত ভ্যাকসিন লাগে তাঁর সরকার সংগ্রহ করবে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই আমরা অর্থনীতির গতিটা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। হয়তো বিশ^মন্দার কারণে উন্নয়নের কাঙ্খিত গতিধারা অব্যাহত রাখা সম্ভবপর হয়নি।
তিনি তাঁর সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং শতবর্ষমেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনার প্রসংগ টেনে বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম যারা আসবে তারা দেশের উন্নয়নের গতিটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেটাই আমরা চাই। এমন কেউ যেন না আসে, যারা আবার বাংলাদেশকে সেই দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বিজয়ী দেশ । বিশ^ দরবারে সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করেই চলবে এবং জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।

© এই নিউজ পোর্টালের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

ফেসবুকে শেয়ার করুন

More News Of This Category
পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin
x