নড়াইল নিউজ ২৪.কম ডেস্ক:
দেশের ৫৯টি অনিবন্ধিত ও অবৈধ ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন বা আইপিটিভি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। এর আগে ১০টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বা ঘোষণাপত্র বাতিল করে।
বিটিআরসি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ডোমেইন কিনে ফেইসবুক বা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আইপিটিভি চালাচ্ছে, যার কোন বৈধ অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া সম্প্রচার অনৈতিক এবং টেলিযোগাযোগ আইনের লংঘন।’
স্পষ্টত সরকার অনলাইনে বৈধতা না নিয়ে পরিচালিত গণমাধ্যমের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। এর আগে হাইকোর্ট এক আদেশে অনিবন্ধিত সব অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
উচ্চ আদালত থেকে এই আদেশ আসার পর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ভূতুরে গণমাধ্যম থাকার দরকার নেই। ডিক্লারেশন নিয়েও কেবল বিজ্ঞাপন পাওয়ার দিন ছাপা হয়, এমন পত্রিকা চালু রাখার পক্ষে নন তিনি।
নিউজপোর্টালের মতোই অনলাইনে টিভি কনটেন্ট প্রচারের প্রবণতাও তৈরি হয়েছে গত কয়েক বছরে। এগুলোর সম্পাদনা নীতি নিয়ে প্রশ্ন আছে, যার যা ইচ্ছা তাই প্রচার করে থাকে। বিভিন্ন আইপি টিভির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও আছে।
বিষয়টি সামনে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের পর। তার আইপি টিভি জয়যাত্রা সেই রাতেই বন্ধ করে দেয়া হয়।
এরপর সরকার আইপিটিভিরও নিবন্ধন চালুর পরিকল্পনার কথা বলে। তথ্যমন্ত্রী জানান, নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
বিটিআরসি জানিয়েছেন, অনিবন্ধিত আইপিটিভি বন্ধ করা হলেও এর সঙ্গে বিটিআরসির আইপিভিত্তিক ডাটা সার্ভিসের জন্য অনুমোদন পাওয়া আইএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানগুলো আগের মতোই নানা আধেয় প্রচার করতে পারবে।
প্রতিটি চ্যানেল বা প্রোগ্রাম বা কন্টেন্ট প্রচারে প্রয়োজনীয় চুক্তি বা অনুমোদন বা ছাড়পত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করতে হবে বলেও জানিয়েছে বিটিআরসি।
লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেই আইপিভিত্তিক ডাটা সার্ভিসের অনুমোদন দেয় বিটিআরসি।